সিলেট নগরীর জামেয়া মাহমুদিয়া সোবহানিঘাট মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম মাওলানা শফিকুল হক আমকুনির জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন মরহুমের বড় ছেলে মাওলানা আহমদ কবির। পরে মানিকপীর (রহ.) এর মাজার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

মাওলানা শফিকুল হক আমকুনীর নামাাজে জানাযায় অংশ নিতে সকাল থেকে নগরী ও আশপাশের উপজেলা থেকে লোকজন আলিয়া মাদরাসা মাঠে আসতে থাকেন। জানাজার নামাজের নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠ ভরে যায়।

নামাজের পূর্বে মরহুমের জীবনী নিয়ে দেশ বরেণ্যে রাজনীতিবিদ, আলেম-উলামারা বক্তব্য রাখেন। এ সময় তারা বলেন, মাওলানা আমকুনী ছিলেন একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমে দ্বীন ও বহুগুণে গুণান্বিত শ্রদ্ধাভাজন মানুষ। দ্বীনি শিক্ষার প্রচার-প্রসার ও বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তার অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যুতে ইসলামি রাজনৈতিক অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হল। বক্তারা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

উল্লেখ্য, শনিবার (২০ এপ্রিল) বাদ মাগরিব সিলেট নগরীর মিরাবাজার আগপাড়াস্থ বাসায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ৫ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মাওলানা শফিকুল হক আমকুনী নিজ গ্রাম গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাদেপাশা ইউনিয়নের সুন্দিশাইল মসজিদ থেকে শিক্ষাজীবনের সূচনা করেন। এরপর জামিয়া হুসাইনিয়া রানাপিং,জামিয়া দেউলগ্রাম, জামিয়া ঢাকা দক্ষিণ মাদ্রাসায় প্রাথমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা শেষ করেন। পরবর্তীতে তিনি মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা ও পাকিস্তানের জামিয়া বিন্নুরী নিউ টাউন থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। বরেণ্য এ আলেম সিলেট নগরীর সোবাহানীঘাট জামিয়া মাহমুদিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম, সোবহানীঘাট মসজিদের মুতাওয়াল্লী ও খতিব হিসেবে আজীবন দায়িত্ব পালন করে গেছেন।

তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ সভাপতি ও সিলেট জেলার আহবায়ক ছিলেন।

এছাড়া তিনি সিলেটের জামিয়া হুসাইনিয়া গহরপুর, জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর, জামিয়া দারুসসালাম খাসদবীর মাদ্রাসাসহ অসংখ্য দ্বীনী প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক, মুহতামিম, মুহাদ্দিস হিসেবে ধর্মীয় অঙ্গনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।